পোলারায়ন বা আয়নের বিকৃতি
পোলারায়নের ধারণা
পোলারায়ন বলতে একটি আয়নের আকার পরিবর্তন বা বিকৃতিকে বোঝায়, যা একটি কেশিয়ন বা অ্যানিয়নের শক্তিশালী বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের কারণে ঘটে। এই প্রক্রিয়ায় অ্যানিয়ন বিকৃত হয়ে কেশিয়নের দিকে আকৃষ্ট হয়। এর ফলে আয়নের আকার এবং বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন ঘটে।
কেশিয়ন ও অ্যানিয়নের ভূমিকা
- কেশিয়নের প্রভাব:
কেশিয়নের আকার ছোট এবং চার্জ বেশি হলে তা অ্যানিয়নকে সহজে বিকৃত করতে পারে। ছোট আকার ও উচ্চ চার্জের কারণে কেশিয়নের পোলারাইজিং ক্ষমতা বেশি থাকে। উদাহরণ: : Al3+, যা Cl- অ্যানিয়নকে সহজেই বিকৃত করতে পারে। - অ্যানিয়নের প্রভাব:
অ্যানিয়নের আকার বড় এবং ইলেকট্রন ঘনত্ব বেশি হলে তা সহজেই বিকৃত হয়। বড় আকারের কারণে নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ কম থাকায় বাইরের ইলেকট্রন সহজে বিকৃত হয়। উদাহরণ: I-, যা একটি শক্তিশালী কেশিয়নের দ্বারা সহজেই বিকৃত হতে পারে।
পোলারায়নের গুরুত্ব
পোলারায়নের ফলে গঠিত যৌগের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসে। যেমন:
- যৌগের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কে পরিবর্তন।
- রাসায়নিক বন্ধনের প্রকারে পরিবর্তন।
- যৌগের দ্রাব্যতায় প্রভাব।
Content added By
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
Cl> F>Br
Br> Cl>F
F>Cl> Br
Cl> Br>F
Read more